এই বছর এই প্রথমবার, সোনার দামে ব্যাপক পতন, দোকানে ভিড় জমাচ্ছে ক্রেতারা!









নিজস্ব প্রতিবেদন :- প্রতিনিয়ত সোনা প্রেমীরা বাজারদর দিকে তাকিয়ে থাকে কখন সোনার দাম কমবে এবং সেই সুযোগকে ব্যবহার করে তারা সোনার গয়না তৈরি করে রাখবে । কিন্তু গত বছর আমরা দেখেছিলাম লকডাউন সময়ে অধিক হারে বেড়ে গিয়েছিল সোনার দাম। মূলত করোনা প্রভাব তার পাশাপাশি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর পদত্যাগের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গিয়েছিল সোনার দাম । যার ফলে রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ পড়ে ছিলো সোনা প্রেমীদের কপালে । তবে এবার অনেকখানি রেহাই মিলল কারণ এবার ১০, ০০০ টাকা কমে গেল সোনার দাম।




সোনা হচ্ছে এমন একটি ধাতব পদার্থ যার মূল্য আমরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না । বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়ি হোক বা জন্মদিন সোনার গয়নার উপস্থিতি আমরা সর্বক্ষেত্রে দেখতে পায় । তার পাশাপাশি সোনার কে বিভিন্ন প্রবাদ বাক্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে । যেমন কোন জিনিসের মূল্য বোঝাতে সোনার কথা আমরা উল্লেখ করে থাকি। সোনার পাথরবাটি সোনার চামচ নিয়ে জন্মগ্রহণ করার প্রবাদ বাক্য আমরা অনেকেই শুনে থাকি । এর মাধ্যমে কোন জিনিসের মূল্য কে বোঝানো হয়ে থাকে কিন্তু সেই সোনা এখন অত্যন্ত কম দামের মিলছে বাজারে ।




গতবছর আগস্ট মাসের সোনার দাম অর্থাৎ ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৫৬ হাজার থেকে ৫৭ হাজার এর মধ্যবর্তী কিন্তু এবার সেই দাম কমেছে ৪৬ হাজার যা ক্রেতারা কিনতে পারবে ৪৭ হাজার টাকায় । একদমই ঠিক শুনেছেন কিন্তু অন্যান্য বারের মতন রুপোর দাম কিন্তু কমেনি বরং বেড়ে গিয়ে এক কেজি রুপোর দাম । এক কেজি রুপোর দাম দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজারের কাছাকাছি। সুগন্ধা সচদেব জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে সোনার দাম ঘুরে দাঁড়ানো এক অদূর ভবিষ্যৎ ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রাথমিকভাবে ৪৭,৫০০ টাকার দিকে এগিয়ে যাবে,




যা পরবর্তীকালে আরো ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দাঁড়াতে পারে ৪৮,১০০ টাকায়। আবার অন্যদিকে ৪৬,৫০০ থেকে ৪৬,৩০০ টাকার সহায়তার স্তরে নেমে আসলে বিক্রির চাপ বেড়ে যাবে। যার ফলে হলুদ ধাতুর সহায়তার স্তরে ৪৫,৫০০ টাকা থেকে ৪৫,৩০০ টাকায় এসে দাঁড়াবে। তারইমধ্যে বিশ্ব বাজারে এক আউন্স সোনার দর আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১,৭৬৩.৬৩ ডলার। তার ফলে সাড়ে চার বছরে সর্বাধিক মাসিক পতনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে হলুদ ধাতু। জুনে সোনার দাম প্রায় ৭.৫ শতাংশের মতো কমেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে,




মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের আচমকা সিদ্ধান্তের জেরে হুড়মুড়িয়ে কমেছে সোনার দাম। তার জেরে এক আউন্স সোনার দাম ১,৮০০ ডলারের নীচে নেমে গিয়েছে। চলতি মাসে ব্লুমবার্গের ডলার স্পট ইনডেক্স বেড়েছে। যা গত বছরের মার্চের পর সবথেকে বেশি উত্থান। তার ফলে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের কাছে সোনার দাম অনেকটা বেড়েছে।এই খবর প্রকাশ উঠে আসার পর থেকেই পুরোপুরি ভিড় লেগেছে সোনার দোকানে কারণ এটাই হলো সুবর্ণ সুযোগ এবং এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে প্রত্যেক সোনা প্রেমীরা ।











