রাজ্যের স্কুল কলেজ কবে থেকে খুলছে? স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু! রইল বিস্তারিত।









নিজস্ব প্রতিবেদন :- করোনা আবহে প্রায় বছর খানেক সময় পর্যন্ত বন্ধ থাকার পর শেষ পর্যন্ত খুলতে চলেছে স্কুল এবং কলেজ। দীর্ঘদিন ধরে কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়ে রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার মান নষ্ট হওয়ার কারণে চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকেরা।কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে অনলাইনে পড়াশোনায় মনোযোগ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।




শুধুমাত্র তাই নয় বেশিরভাগ জায়গাতেই ডিজিটাল ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় অনলাইনে ক্লাস করতে গিয়েও নানান ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। যার ফলস্বরুপ আপাতত অধীর আগ্রহে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবক সকলেই অপেক্ষা করছেন। ইতিমধ্যেই ভা-ইরাসের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। সম্প্রতি এইমসের প্রধান গুলেরিয়া জানিয়েছেন,”আসন্ন উৎসবের দিন গুলিতে মানুষজন যাতে সতর্ক হয়ে বাড়িতে থাকেন সেটাই শ্রেয়।




কারন একটি স্থানে হঠাৎ করে জনঘনত্ব বৃদ্ধি পেলে সং-ক্রমনের আ-শংকা যথেষ্ট বাড়িয়ে দেবে। এই মুহূর্তে ভারতের যে পরিস্থিতি তাতে কোনোভাবেই তৃতীয় ঢেউ কে নিয়ন্ত্রন করা উচিত নয়। দেশে তৃতীয় ঢেউ এর আগমন ঘটবে কিনা তা জনতার উপর নির্ভর করছে। যারা এখনো টিকা নেননি তাদের অবশ্যই টিকাকরণ সমাপন করে নিতে হবে।




টিকাকরণের কারণেই করোনা সংক্রমনের গতি আগের থেকে অনেকটাই নিম্নমুখী।যেহেতু দেশের বড় সংখ্যক জনগণের শরীরে এই মহামারীর প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে তাই আস্তে আস্তে সংক্রমণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে এই মারণ ভাইরাস”। এই বক্তব্যের পর এই ধীরে ধীরে কিছুটা হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। যদিও এখনও পর্যন্ত অনেক জায়গাতেই লকডাউন এবং নাইট কার্ফু জারি রয়েছে।




তবে পুজোর দিন গুলোতে এই নাইট কার্ফু তুলে দিচ্ছে নবান্ন। এমতাবস্থায় তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি নিয়ে। শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট জানিয়েছেন,”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ অনুযায়ী ধাপে ধাপে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজের সূত্রপাত হয়ে গিয়েছে।




এরপরেও যদি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু ছাত্র ছাত্রী ভ্যাকসিন দেওয়া বাকি থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের আমরা ভ্যাকসিন দেব। ইতিমধ্যেই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। স্কুলের পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়া হতে চলেছে”। সম্ভবত এই ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই উৎসব শেষে স্কুল কলেজ গুলি খুলে দেওয়া হবে।











