মাত্র ৪০০ টাকা ব্যবসা শুরু করে এখন আয় এখন মাসে সাড়ে তিন লাখ টাকা যুবকের!









নিজস্ব প্রতিবেদন :- গল্পটা একটা বেকার যুবক সমাজ থেকে কোটিপতি হয়ে ওঠার এক ছেলের যার নাম মাসুম প্রামানিক। একদম ঠিক শুনেছেন তাঁর কাছে চাকরি করার প্রচুর সুযোগ সুবিধা ছিল কিন্তু তথাকথিত গুলামগিরি করা তার রক্তে ছিলনা । তাই নিজেই কোন কিছু একটা করবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন । ৪০০ টাকা ঠিক কিভাবে ৩ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে হয় সেটা দেখিয়ে দিয়েছিলেন এই যুবক । যদিও ছোটবেলা থেকে নিজের ইচ্ছে কিছু করতে চাই এই প্রবল পরিমাণে এমন ইচ্ছে দেখা দিত মাসুদ এর মনে। এবং মাধ্যমিক পাস করার পর থেকে তিনি টিউশন পড়তে শুরু করেন ।




তারপরে কয়েকদিনের মধ্যেই তার ভালো সুখ্যাতি ছড়িয়ে যায় গোটা এলাকা তে । এবং কয়েকজন বন্ধু বান্ধবীদেরকে নিয়ে শুরু করা একটি কোচিং সেন্টার । কিছুদিনের মধ্যেই কোচিং সেন্টারের নাম এলাকার সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে এরপর একটি কলেজ থেকে কম্পিউটার বিভাগে পড়ানোর জন্য ডাক পাঠানো হয় তারপর নিজের জীবন শুরু করলেন কম্পিউটার নিয়ে। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে শুরু করে মাসুম । ওয়েব ডিজাইনিং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ইত্যাদির উপর নিজেকে দক্ষ করে তোলার চেষ্টা করেন তিনি ।




এবং তিনি তেমনটা করতে পেরেছিলেন । এরপর একের পর এক বিভিন্ন নামিদামি ওয়েবসাইটে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে থাকে । তাকে তখন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য ৫০০০ টাকা পকেট থেকে দিতে হয়েছিল । কিন্তু পরের মাসে তিনি তার মাসিক বেতন পাওয়ার পর কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছিলেন । হঠাৎ করে এক জালি সংস্থার হাতে পড়ে সর্বস্ব উপার্জন হারিয়ে ফেলেন কিন্তু তিনি ভেঙে পড়েননি আবার শুরু করেছেন নতুনভাবে । এরপরে ওডেস্ক নামে একটি কোম্পানির সাইডে একাউন্ট করে আবারও শুরু করেন ফ্র্রিল্যান্সিং।




ঠিক দুইমাস পর ৫ ডলারের একটি কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন করেন তিনি। এই ৫ ডলারই ঘুরিয়ে দিয়েছে তার জীবনের মোড়। ফ্র্রিল্যান্সার মাসুম প্রামাণিক জানান, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি প্রশিক্ষক হিসেবে চাকুরী করেছেন স্কিলস টু সাক্সিসিড, লার্নিং এ্যান্ড আরনিং ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট, স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট প্রকল্পে। মাসুম প্রামাণিক বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ এই দুই বছরে আপওয়ার্কে ২৫০টি, ফাইবারে ২০০টি এবং স্থানীয় ১০০টি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছি। বর্তমানে মার্কেটপ্লেসের বাইরে কানাডিয়ান এজেন্সি ছি এন এস, আমেরিকান এজেন্সি ব্রাইট হাউস,




অস্ট্রেলিয়ান এজেন্সি ভেট এসই এর সাতে কাজ করছেন। এছাড়া এ্যাফিলিয়েট, এডসেন্স সাইট করেছি ২০টির বেশি। তিনি এটাও বলেন যে মাসুম প্রামাণিক বলেন, প্রথম যে দিন ৫ ডলার আয় করেছিলাম, সেদিনের কথা আজও বারবার মনে করিয়ে দেয়। দিনে প্রায় ৫ বার প্রোফাইলে গিয়ে রিভিউটা দেখতাম, কত ডলার যোগ হয়েছে। তবে আইটি সেক্টরে বর্তমানে অনেক তরুণ-তরুণীরা আসছে। তাদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা নিজেকে দক্ষ করে লেগে থাকতে হবে, সাফল্যে একদিন ধরা দিবেই। এই মুহূর্তে তার নিজস্ব একটি কোম্পানি রয়েছে এবং সেখানে প্রায় 16 জন তরুণ-তরুণী কাজ করে বেকারত্ব ঘোচাতে সাহায্য করেছে তাদেরকে এই মাসুদ এর ভাবনাচিন্তা ।











