নারকেল গাছের চারা ও কাজু বাদাম গাছ যেভাবে যে পদ্ধতিতে বাড়িতে লাগালে দুই বছরের মধ্যে গাছ ভর্তি ফল হবে একদম নিচেই, রইল পদ্ধতি!









নিজস্ব প্রতিবেদন :- অন্যদিকে সাথে সাথে ভারতবর্ষের কৃষি বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন করেছে । বিজ্ঞানী দের নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং সাধারণ মানুষের চেষ্টাতে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে এমন কিছু ধরনের উদ্ভিদ যেগুলি অন্যান্য উদ্ভিদের তুলনায় বহুগুণ ফসল দিতে সক্ষম হয় । আপনি হয়তো ভাবছেন যে এমনটা আদৌ সম্ভব কিনা । কিন্তু বাস্তবতার চিত্র দেখা গেছে । এবং বহুদিন যাবত এই ধরনের গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে মিলেছে সফলতা।




নারকেল একটি অর্থকরী ফসল । নারকেল বিক্রি করে প্রচুর অর্থ পাওয়া যায় এবং মূলত কর্নাটকের ও কেরল এ ইত্যাদি জায়গাতে প্রচুর পরিমাণে নারকেল গাছের চাষ হয়ে থাকে । কিন্তু সাধারণত নারকেল গাছে ৩০ ফুট বাই ৪০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয় । এবার সেই গাছের উচ্চতা কমিয়ে পাঁচ থেকে ছয় ফুট করা হয়েছে । এবং ফসল হবে আগের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।




শুধুমাত্র নারকেল গাছ নয় । তার পাশাপাশি অর্থকারী ফসল কাজের ক্ষেত্রে কিন্তু একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে । এবং এই পদ্ধতি অবলম্বন করে রীতিমতো উচ্চতাবিশিষ্ট গাছের অধিক ফলন বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল বিজ্ঞান এবং তারা সফল হয়েছে ।একইভাবে পাঁচ থেকে ছয় ফুট লম্বা ও ঘন কাজু গাছ তৈরিতে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কাজু চাষের এই বিপ্লবী পরিবর্তনের কারণে হেক্টর প্রতি উত্পাদনশীলতা বেড়েছে ৩০০ শতাংশেরও বেশি। পাইলট প্রকল্প হিসাবে কিছু জায়গায় এই বামন গাছের চাষ করা হচ্ছে। এগুলি আগামী দিনে বড় আকারে ইনস্টল করা হবে।




এইভাবে নারকেল গাছ এবং কাজু গাছের চাষ করা হলে কম অঞ্চলে আরও বেশি গাছ লাগানো সম্ভব হবে। এই গাছগুলির যত্ন নেওয়া সহজ, এগু-লি রো-গের ঝুঁ-কির ঝুঁ-কিপূর্ণ করে তোলে। নারকেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বে প্রথম অবস্থানে, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়া দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে। নারকেলের বার্ষিক রফতানি প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে একা নারকেল কয়ুর রফতানি হয় ৩০০০ কোটি টাকা ।











