ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল মানুষ! হাওয়া বদলের ইঙ্গিত নিয়ে আসছে কালবৈশাখী, কি বলছে আবহাওয়া দপ্তর?









নিজস্ব প্রতিবেদন:মার্চের শুরুর দিক থেকেই ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল অবস্থা হয়ে গিয়েছে রাজ্যবাসীর। সেই গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে রাজ্যজুড়ে সামান্য হালকা বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছিল। কিন্তু তারপর আর বৃষ্টির কোনরকম পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে না বললেই চলে।




এমতাবস্থায় অনেকটা চাতক পাখির মতো কালবৈশাখীর অপেক্ষায় চেয়ে রয়েছেন বাংলার জনগণ। কারণ দিন প্রতিদিন যেভাবে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে চলেছে তাতে খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি আরও সংকটের দিকে যাচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এই মাসের মাঝামাঝি সময়েই তাপমাত্রার পারদ প্রায় চল্লিশটির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।




স্বাভাবিকভাবেই এই সময় পরিবেশে যদি সামান্য ঝড়-বৃষ্টি না দেখা যায় তাতে পরিস্থিতি আরো অস্বস্তিকর হয়ে উঠবে। কিন্তু পহেলা বৈশাখ শুরু হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কালবৈশাখী বা কোনো রকমের বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জানায়নি আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।




এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন থেকেই যায় তবে কি এই গরমের কারণে তাপপ্রবাহ সৃষ্টি হতে চলেছে! যদিও ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের জেলা গুলির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছে। তবে এই সব কিছুর মাঝেই উত্তরবঙ্গ বাসীর জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। জানা যাচ্ছে আগামী 48 ঘন্টার মধ্যে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।




এই জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি থেকে শুরু করে কালিম্পং আলিপুরদুয়ার প্রভৃতি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পাহাড়ি অঞ্চলের উপর দিকের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অন্যান্য জায়গার তুলনায় সামান্য বেশি হবে। তবে এখনো পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ঝড় বৃষ্টি কিংবা কালবৈশাখীর কোন রকমের সম্ভাবনার কথা জানাননি আবহাওয়াবিদেরা।




দিন কয়েক আগেই একটি ঘূর্ণিঝড়ের আগমনের কথা বলা হলেও উপযোগী পরিবেশ না পাওয়ায় এটি সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। আজ শহর অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 36 ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 27 ডিগ্রি সেলসিয়াস।











