হটাৎ আপনার সামনে কারোর স্ট্রোক হলে তৎক্ষণাৎ যা করলে বেঁচে যাবেন রোগী, জেনে রাখুন









নিজস্ব প্রতিবেদন:- প্রতিনিয়ত একাধিক রোগ-ব্যাধি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে আমাদের এই মানব শরীরে। মূলত প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে এই রোগব্যাধি সংখ্যা। এই সমস্ত রোগ এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে অনিয়মিত জীবনযাপন বা অতিরিক্ত পরিমাণে জাঙ্ক ফুড খাবার খাওয়া ।ডাক্তারি ভাষায় এক প্রকার রোগ রয়েছে বা সমস্যা রয়েছে যাকে নীরব ঘাতক বলা হয় ।অর্থাৎ এর আক্ষরিক অর্থ যদি খুব সংক্ষেপে বলা যায় তাহলে বলতে হয় স্টোক ।প্রতিনিয়ত স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে আমাদের আশেপাশের। তাই প্রথমে আমাদেরকে জেনে নিতে হবে স্ট্রোক কেন হয় এবং যদি কোন কারণে হয়ে থাকে তাহলে তৎক্ষণাৎ কি কাজ করলে হাতে কিছুটা হলেও সময় পাওয়া যেতে পারে।




স্ট্রোক কেন হয়:-আমাদের শরীরের মধ্যে যে সমস্ত কোষ গুলি রয়েছে সেগুলি কে সজীব রাখতে প্রতিনিয়ত তার মধ্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় এবং এই অক্সিজেনের সরবরাহ কাজ করে মূলত হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুস ।কিন্তু কোনো কারণে যদি মস্তিষ্কের জীবিত কোষ গুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় বা রক্ত চলাচল সঠিক মাত্রায় না হয় তখন স্ট্রোক হবার প্রবণতা থেকে থাকে অনেকটা।




করণীয়:-১)রোগীকে কাত করে শুইয়ে দিন তৎক্ষণাৎ ।এই সময় কোন সময় কোন খাবার বা ওষুধ দেবেন না ।কারণ সেটি শ্বাসনালীতে গিয়ে বিপদে আরো বাড়াতে পারে।
২)বাড়ির জানলা দরজা সব খুলে দিন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এবং আলো-হাওয়া চলাচল করতে দিন।
৩)রোগীকে অতি দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিতে যেতে হবে এবং হাসপাতালে যাওয়ার সময় খেয়াল করে রোগীর আগের চিকিৎসার ফাইলপত্র নিতে হবে।
৪)জামা প্যান্ট হালকা করুন ।




প্রতিরোধের উপায়:-১) অনিয়মিত জীবনযাত্রার অভ্যাস আপনাকে ত্যাগ করতে হবে।
২) মদ্যপান ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
৩)কেউ উচ্চ রক্তচাপের রোগী হলে চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ খান এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বন্ধ করবেন না।
৪)নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করুন
৫)ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।











