জন্ম থেকেই কানে শোনেন না, সাথে বোবা! তবুও দারুন কায়দায় তবলায় বোল তুলতে কখনো ভুল হয় না দুর্গাপুরের প্রকাশের!









নিজস্ব প্রতিবেদন:সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ভাইরাল হতে থাকে।বিশেষত বর্তমানে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মত প্লাটফর্মগুলি সাধারণ মানুষের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।এই প্লাটফর্ম গুলি শুধুমাত্র যেকোনো জিনিস ভাইরাল করে তোলে তা নয় অনেক মানুষের প্রতিভা কেও সামনে নিয়ে আসতে সাহায্য করে।




এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা রানু মন্ডল এবং ভুবন বাদ্যকর দের মত প্রতিভাদের পেয়েছি। লকডাউন এর সময় থেকে ক্রমাগত এই সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বেড়েই চলেছে। বর্তমানে মানুষের কাছে বিনোদনের অন্যতম একটি মাধ্যমে পরিণত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।




ছোট থেকে বড় আজকাল প্রায় সকলেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষত স্মার্টফোনের সহজলভ্যতার কারণে ইন্টারনেটের ব্যবহার আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে বর্তমানে গণমাধ্যম এর থেকেও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। যদিও অনেকেই এটিকে নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে ব্যবহার করার কথা বলেছেন। তা না হলে এটি শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।




তবে নেট মাধ্যমের বিশেষ কিছু ভাল দিকও রয়েছে। যেমন সম্প্রতি এই নেট মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিও থেকে আমরা এমন একজন ব্যক্তির পরিচয় পেয়েছি যার কথা জানতে পারলে আপনারা অবাক হবেন।ভাইরাল এই ভিডিওতে
আমরা দুর্গাপুরের বাসিন্দা প্রকাশ রুইদাসের কথা জানতে পারছি।




প্রসঙ্গত 45 বছর বয়সী এই ব্যক্তি ছোট থেকেই মূক বধির। স্টেশন বাজারে তার একটি বাদ্যযন্ত্রের দোকান রয়েছে। বাদ্যযন্ত্র সারানো থেকে শুরু করে তা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা সমস্ত কাজ করে থাকেন প্রকাশ। নিজের বাবার থেকে এই কাজ শিখেছিলেন তিনি। গত 4 বছর আগে তার মা বার্ধক্য জনিত সমস্যার কারণে মারা যায়। শুধুমাত্র প্রকাশ নয় তার বোন ববি রুইদাস ও একজন মূক ও বধির।




তবে আশ্চর্যের বিষয় কানে শুনতে না পারলেও প্রকাশ এক বিশেষ ধরনের প্রতিভার অধিকারী। ছোটবেলা থেকেই তিনি কানে শুনতে না পারলেও তবলার বোল বুঝতে বা সমস্যা অনুভব করতে তার কোনো রকমের অসুবিধা হয় না। রীতিমতো দক্ষতার সাথে বাদ্যযন্ত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকেন তিনি।




বলতে গেলে তার সারাটা দিন তবলা নিয়েই কেটে যায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা প্রকাশ দাসের এই আশ্চর্য প্রতিভার কথা জানতে পেরেছি। তাই অবশ্যই আমাদের দিনশেষে একবার হলেও সোশ্যাল মিডিয়াকে কুর্নিশ জানানো উচিত। একবার সময় করে সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল প্রকাশ দাসের এই ভিডিওটি দেখতে ভুলবেন না।











